December 18, 2018
জহির রায়হান
এই উপন্যাসে লেখক সমাজের কয়েকটি খারাপ দিকের কথা তুলে ধরবার চেষ্টা করেছেন। এই যেমন পরকীয়া, অবৈধ সম্পর্ক, দেহ ব্যবসা ইত্যাদি ইত্যাদি। উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের নাম শওকত। একজন বেকার মানুষ। এবং সেই সাথে তার কাপুরুষতার লক্ষন সুস্পষ্ট। সে একটি ঘন বসতি সম্পন্ন এলাকায় থাকে। তিনি সেখানে "মার্থা" নামের এক বিবাহিত মহিলার সাথে পরিচিত হয়। যদিও মার্থা শওকত এর পূর্বপরিচিত। তাদের সম্পর্ক গাড় হতে হতে পরকীয়ার রূপ নেয়। একপর্যায়ে তারা দুজনেই স্বপ্নের জাল বুনতে আরম্ভ করে। তাদের একটি সংসার হবে, একটা ছোট্ট বাড়ি থাকবে, একটা ছোট্টও দোকানও থাকবে, তাদের কোল জুড়ে থাকবে একটি ফুটফুটে শিশু। এই জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে টাকা আয় করার জন্যে। হোক সেটা সৎ পথে, কিংবা অসৎ পথে। মার্থা তার এই অবৈধ ভালবাসার জন্যে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। মার্থা আর শওকত একই এলাকার বাসিন্দা। খুব কাছাকাছিই তাদের বাসা। তাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে একজন নর্তকী সেলিনা, বউ পেটানো কেরানী, কিছু জুয়াখেলোয়ার অন্যতম। এছাড়াও আরও একটি বিশেষ চরিত্র উপন্যাসে দেখতে পাওয়া যায়, যার নাম "বুড়ো আহমদ হোসেন"। আমার কাছে এই মানুষকে এক রহস্য বলেই মনে হয়েছে। তবে গুরত্তপুর্ন ব্যাপারটি হল, লেখক এই বুড়ো মানুষের মাধ্যমেই সমাজের অনেক অনৈতিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন।
কাহিনি শেষের দিকে মার্থা টাকার আয় বাড়ানোর জন্য তার দোকান থেকে ঔষধ অসাধু উপায়ে বিক্রি করতে থাকে। যার ফলস্বরূপ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কিন্তু শওকত এর অনুভূতি ছিল এই ব্যাপারে ভাবলেশহীন। সে বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেনি মার্থাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়াবার জন্যে। বরং শওকত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলো। একদম শেষাংশে একটি অকল্পনীয় ঘটনা লক্ষ করা যায় শওকত এর। তিনি হটাত করে কেরানীর ঘড়ে গিয়ে, দা দিয়ে এক কোপে কেরানীর মাথা কেটে ফেলেন। কেরানী খুন হয় শওকতের হাতে। খুব সম্ভব মার্থার গ্রেপ্তার হবার পেছনে কেরানীর হাত ছিল। খুন করে ছুটে পালিয়ে যাবার সময় শওকত দেখতে পায় নর্তকী সেলিনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার কীর্তিকলাপ দেখছে। নিজেকে গা ঢাকা দেবার জন্য শওকত যখন ছুটে পালাচ্ছিল, তখন শুধু যাবার সময় সেলিনার হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিল। সেলিনাও তাকে বাঁধা দেবার কোন চেষ্টা করল না। দৌড়ুতে থাকা শওকত এর সঙ্গি হল সেলিনা।
তৃষ্ণা ...
Trishna By Zahir Raihan
Trishna By Zahir Raihan
তৃষ্ণাTrishna By Zahir Raihan
8
10
99
জহির রায়হান
এই উপন্যাসে লেখক সমাজের কয়েকটি খারাপ দিকের কথা তুলে ধরবার চেষ্টা করেছেন। এই যেমন পরকীয়া, অবৈধ সম্পর্ক, দেহ ব্যবসা ইত্যাদি ইত্যাদি। উপন্যাসের প্রধান চরিত্রের নাম শওকত। একজন বেকার মানুষ। এবং সেই সাথে তার কাপুরুষতার লক্ষন সুস্পষ্ট। সে একটি ঘন বসতি সম্পন্ন এলাকায় থাকে। তিনি সেখানে "মার্থা" নামের এক বিবাহিত মহিলার সাথে পরিচিত হয়। যদিও মার্থা শওকত এর পূর্বপরিচিত। তাদের সম্পর্ক গাড় হতে হতে পরকীয়ার রূপ নেয়। একপর্যায়ে তারা দুজনেই স্বপ্নের জাল বুনতে আরম্ভ করে। তাদের একটি সংসার হবে, একটা ছোট্ট বাড়ি থাকবে, একটা ছোট্টও দোকানও থাকবে, তাদের কোল জুড়ে থাকবে একটি ফুটফুটে শিশু। এই জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে টাকা আয় করার জন্যে। হোক সেটা সৎ পথে, কিংবা অসৎ পথে। মার্থা তার এই অবৈধ ভালবাসার জন্যে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। মার্থা আর শওকত একই এলাকার বাসিন্দা। খুব কাছাকাছিই তাদের বাসা। তাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে একজন নর্তকী সেলিনা, বউ পেটানো কেরানী, কিছু জুয়াখেলোয়ার অন্যতম। এছাড়াও আরও একটি বিশেষ চরিত্র উপন্যাসে দেখতে পাওয়া যায়, যার নাম "বুড়ো আহমদ হোসেন"। আমার কাছে এই মানুষকে এক রহস্য বলেই মনে হয়েছে। তবে গুরত্তপুর্ন ব্যাপারটি হল, লেখক এই বুড়ো মানুষের মাধ্যমেই সমাজের অনেক অনৈতিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন।
কাহিনি শেষের দিকে মার্থা টাকার আয় বাড়ানোর জন্য তার দোকান থেকে ঔষধ অসাধু উপায়ে বিক্রি করতে থাকে। যার ফলস্বরূপ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। কিন্তু শওকত এর অনুভূতি ছিল এই ব্যাপারে ভাবলেশহীন। সে বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেনি মার্থাকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়াবার জন্যে। বরং শওকত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলো। একদম শেষাংশে একটি অকল্পনীয় ঘটনা লক্ষ করা যায় শওকত এর। তিনি হটাত করে কেরানীর ঘড়ে গিয়ে, দা দিয়ে এক কোপে কেরানীর মাথা কেটে ফেলেন। কেরানী খুন হয় শওকতের হাতে। খুব সম্ভব মার্থার গ্রেপ্তার হবার পেছনে কেরানীর হাত ছিল। খুন করে ছুটে পালিয়ে যাবার সময় শওকত দেখতে পায় নর্তকী সেলিনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তার কীর্তিকলাপ দেখছে। নিজেকে গা ঢাকা দেবার জন্য শওকত যখন ছুটে পালাচ্ছিল, তখন শুধু যাবার সময় সেলিনার হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দিল। সেলিনাও তাকে বাঁধা দেবার কোন চেষ্টা করল না। দৌড়ুতে থাকা শওকত এর সঙ্গি হল সেলিনা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Comments: